ডিভাইস কসমেটিক খৎনা কিভাবে করে তা দেখতে নিচের লিংকের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।
ডিভাইস কসমেটিক সার্জারি খৎনায় আমরা দিচ্ছি ৮০% ছাড়!
হাজামগণ; কাঠি বা ইন্সট্রোমেন্ট ওয়ান টাইম ব্যবহার করে না। যার কারণে বিভিন্ন ধরনের ছোঁয়াচে রোগ আপনার আদরের সোনামনির হতে পারে । যেমন: হেপাটাইটিস বি, রক্ত দূষণ, বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ ।
আপনাদের একটি প্রশ্ন - কই আগে আমাদের সময় তো কোন সমস্যা হয় নাই?
উত্তর- আপনাদের সময় এত রোগ জীবাণু ভাইরাস ছিল না । আগে তো এক সিরিজ দিয়েই একাধিক রোগীকে ইঞ্জেকশন দেয়া হতো, এখন ওয়ানটাইম সিরিজ এজন্যই ব্যবহার করা হয় যেন রোগ জীবাণু ভাইরাস ছড়িয়ে না যায়।
হাজাম দিয়ে খৎনা করালে আরেকটি বড় ক্ষতির সম্ভাবনা এই যে, তারা সঠিক পরিমাণে কাটতে পারে না । বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে পেনিসের চামড়া বড় হয়ে যায় । যার কারণে পরবর্তীতে আবার খৎনা করাতে হয় ।
কিছু দিন আগে দুই জনকে খৎনা করালাম এক জন 31 বছর বয়সে আরেক জন 30 বছয় বয়সে । ছোটবেলায় হাজাম দিয়ে সুন্নাতি খৎনা করিয়েছিলেন কিন্তু খৎনা হয় নাই দ্বিতীয় বার 31 এবং 30 বছর বয়সে আবার খৎনা করালাম । আরো কয়েক জন এসেছিলেন বিভিন্ন বয়সে দ্বিতীয়বার খৎনা করানোর জন্য । উনারা আবার খৎনা করাবেন। তাই সাবধান! কেউ হাজাম দিয়ে খৎনা করাবেন না ।
সার্জিক্যাল খৎনার পরবর্তী উন্নত পদ্ধতি হচ্ছে ডিভাইস কসমেটিক খৎনা ।
সার্জিক্যাল খৎনার হলো যা কেটে কেটে করতে হয়। যার নামেই হলো ডি-সেকশান মেথড।
আমি যখন সার্জিক্যাল মেথডে খৎনা করতাম তখন অনেকটা আঁকা বাঁকা থাকত এবং নিচ দিয়ে ঝুলে থাকত, দুই সেলাইয়ের মাঝখানে একটা দাগ থাকত। বিশেষ করে কিছু বাঁচ্চার ক্ষেত্রে মুসলমানির করানোর প্রায় একমাস পর চামড়ার নিচে কিছু গুটির মতো দেখা যেত। এই গুটি গুলো ভিতরে রক্তনালী বন্ধের জন্য যে বিদেশী সুতা দ্বারা গিঁট বা নট দেওয়া হতো সেগুলো না মেশার কারণে হয়ে থাকত।
কারো কারো ভিতরে ইনফেকশান হয়ে সাদা হয়ে যেতো, চাপ দিলে ভিতর থেকে বের হয়ে চলে আসতো। যাদের ইনফেকশান হতো না তাদের গুলো ভিতরে থেকে যেতো। বলা হতো যে, একটু গোল দেখা যাবে কিন্তু কোন অসুবিধা হবে না। তখন থেকেই চিন্তা শুরু হলো কিভাবে উন্নতমানের মুসলমানি করা যায়।
আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে ডিভাইস কসমেটিক খৎনাতে রক্ত বন্ধের জন্য আধুনিক মেশিন ব্যবহার করার কারণে ভিতরে আর গিঁট বা নট দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কাটার পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিন্ন হওয়ার কারণে গুটি ও থাকে না, আঁকা বাঁকাও থাকে না, কোন দাগও থাকে না। আজকে যে মুসলমানি হয়েছে তা বুঝার কোন উপায় নেই।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেছেন ৩ বৎসর বয়সের কম বাচ্চাদের মুসলমানী করা উত্তম।
অনেক বাচ্চার Micro Penis (অতি ছোট পেনিস ), ফাইমুসিস (একবারে চিকন ছিদ্র ও সামনে টাইট চামড়া), প্যারাপাইমোসিস (প্রস্রাবের রাস্তার সুপারির পেছনে চামড়া টাইট হয়ে ফিতার মতো একটি বেন্ড হয়ে যায়। অনেকে এটাকে পয়গম্বরী মুসলমানী বলে। কিন্তু এটা ঠিক না, এটা একটা অসুখের নাম, যদি বেন্ড ভিতরের দিকে বেশি চাপ দেয় তাহলে সুপারিটা ফুলে ছোট বেলুনের মতো হয়ে যায়। পরে অপারেশন করতে হয়। অনেক রোগীর Penis ইনফেকশন হতে হতে প্রস্রাবের রাস্তার ছিদ্রর উপরে একটি ছোট আবরণ পড়ে যায়। এতে প্রস্রাবে বাচ্চার বেশ কষ্ট হয় এবং ফোটা ফোটা প্রসাব হয় ফলে প্রেশার দিয়ে প্রসাব করতে হয় এবং বাচ্চা কান্নকাটি করে। এতে করে বাচ্চার মূত্রথলিতে ইনফেকশন হয় ও কিডনিতে চাপ পড়ে। কিছু কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে দেখা গেছে ইনফেকশন হতে হতে ছিদ্রর আশেপাশে সাদা হয়ে ছাগলের সিনার হাড্ডির মতো শক্ত হয়ে যায়।
তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে খৎনার জন্য কোন সময় সীমা নির্ধারিত নেই। যত আগে খৎনা করা যায় বাচ্চাদের জন্য ততোই উত্তম। মুসলমানী করানোর সাথে শীত, গ্রীষ্মের কোন প্রভাব নেই বরং শীতের চাইতে গরমের সময় বাচ্চারা খোলামেলা থাকতে পারে। আমাদের দেশে একটা প্রচলিত বিশ্বাস চলে আসছে যে, শীতকালে মুসলমানী করতে হয়। মুসলমানী একটা মাইনর অপারেশন। গরমকালে কোন বাচ্চার এপিন্ডিসাইটিস হলে কোন ডাক্তার অথবা অভিভাবক শীতকালের জন্য অপেক্ষা করে না। শীতে ও গরমে শুকানোর একই সময় লাগে।
অনেক বয়স্ক নও মুসলিম, হিন্দু ও খৃষ্টান ভাইদের চিকিৎসার প্রয়োজনে খৎনা করাতে হয়। মানুষ কি বলবে এটা না ভেবে আপনার চিকিৎসার প্রয়োজনে দেরি না করে তাড়াতাড়ি খৎনা করাবেন।
পরিশেষে বলবো, বাচ্চা /শিশু আপনার! খৎনা শুধু একবারই করাবেন । তাই ভালো পদ্ধতি গ্রহন করুন! অভিজ্ঞ প্রশিক্ষিত স্পেশালিষ্ট দিয়েই আপনার সন্তানের খৎনা করাবেন ।